শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
আমাদের অনেকেরই ফেসবুক আসক্তি রয়েছে। এক অজানা অন্ধ তাড়নায় দিনে কয়েকবারও ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট চেক করি। কখনও কখনও ঘুমানোর আগে এটাই আমাদের শেষ কাজ হয়, আবার ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হয়। যখন আমরা এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকি সময় দ্রুত চলে যায়, অনেকটা যেন আমরা আচ্ছন্ন থাকি এটা নিয়ে।
অথচ আমাদের কয়জনের এমন আসক্তির সম্পর্ক, অথবা আদৌ কোন সম্পর্ক আছে – কুরআনের সাথে? এটা সেই বই বা কিতাব যেটা মদ্যপ, অত্যাচারী, কন্যা শিশু জীবন্ত চাপা দিয়ে হত্যাকারী মানুষদেরকে ন্যায় এর পথে আহ্বানকারী, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, কোমল হৃদয়ের, সমস্ত জগতের রব আল্লাহর নিরহঙ্কারী বান্দায় পরিনত করে দিয়েছিল। এই কিতাবের মধ্যে যা রয়েছে তা যদি সেই মানুষগুলোর হৃদয়ে চিরন্তন শান্তি আর প্রবৃত্তির খেয়ালখুশির শৃঙ্খলা থেকে আত্মার মুক্তি এনে দিতে পারে, তাহলে নিঃসন্দেহে তা আমাদেরকেও আমাদের সমস্যা, হৃদয়ের যন্ত্রণা আর দুশ্চিন্তা থেকে উদ্ধার করতে পারে। কিন্তু, আমাদেরকে প্রভাবিত করার যে কি ভীষণ ক্ষমতা এর রয়েছে তা সারাজীবন আমাদের অজানাই থেকে যাবে যদি আমরা এই কিতাবকে বাদ দিয়ে অন্যান্য সম্পর্কগুলোকে কে প্রাধান্য দেওয়া অব্যহত রাখতে থাকি।
আমারা কেউ কেউ কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়তে চাই, কিন্তু হয়তো মনে হয়…একঘেয়ে, দুর্বোধ্য, অথাবা যথেষ্ট দ্রুত না। আমরা স্ট্যাটাস আপডেট, ছবি, আর প্রানবন্ত আলাপচারিতায় অভ্যস্ত। আমরা মজার মজার ক্যাপশন আর ছবি বেশী উপভোগ করি। আমরা সত্যিকারেরে মানুষজন, কথার আদান প্রদান, ধরা ছোঁওয়ার মধ্যের বন্ধুত্ব -অথবা অন্ততঃ শুধু ফেসবুকের বন্ধুত্ব বেশী পছন্দ করি। আমাদের মধ্যে অনেকেই বাস্তবে চেনেও না এমন মানুষকেও বন্ধু হিসেবে অ্যাড করে নেই।
আসলে আমরা যা পছন্দ করি তা অনেক আগে থেকেই কুরআনের ভিতরেই রয়েছে। এখন এটা আমাদের উপরই নির্ভর করে আমরা আল্লাহর সহায়তায় কুরআনকে আমাদের বর্তমানের বিনদোনের উপকরনের সাথে অদল বদল করতে পারি কিনা। কুরআনের ভিতর থেকেই আমরা আমাদের হৃদয়ের খোরাক পেতে পারি, যদি আমরা আমাদের চিন্তাধারাকে পরিবর্তন করি আর আমাদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাই। এখন কয়েকটি উপায়ের উল্লেখ করছি যা আমরা আল্লাহর কিতাব আল-কুরানের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নে বাস্তবে কাজে লাগাতে পারি আর এতে করে দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের অবস্থানের উন্নতির আশা করতে পারি ইনশাআল্লহ।